ঈদের মেহেদি ডিজাইন । Eider Mehndi Design
ঈদের আগের রাতে মানে চাঁদের রাতে মেহেদি না পড়লে যেন ঈদের আনন্দটা জমেই না। সেই ছোট কাল থেকেই ঈদের আগের রাতে বড় আপুদের তোসামোত করতাম, যেন আমার হাতে মেহেদী ডিজাইন করে দেয়।
সারা বছর কোনো খবর না থাকলেও ঈদের আগের দিন সবার হাতে মেহেদি চাই চাই হোক সে ছোট বা বড়। আমাদেরও একই অবস্থা। সন্ধ্যার পর মেহেন্দি দিতে শুরু করতাম পরিবারে সবাই মিলে।
এক দিনের কথা মনে পরে সেদিন বড় আপু বলেছিলেন যে তার হাতের কাজ শেষ না করা পর্যন্ত ডিজাইন করে দিতে পারবে না তবে কিছু লাভ হয় নি। আমি সহ ভাগ্নে, ভাগ্নি, ছোট ভাই-বোনের সিরিয়াল ধরেছে আমাকে এখনি করে দিতে হবে। এই ঘ্যান ঘ্যান চলতেই থাকবে যতক্ষণ না অঅমাদের মেহেদি লাগিয়ে দেয়।
অনেকেই আছেন যারা কঠিন ছবি দেখে মেহেদি ডিজাইন করতে পারেন না। মেহেদি ডিজাইন করতে গেলে ভুল হয়ে যায়। আর ভুল হয়ে গেলে সেটা নষ্ট হয়ে যায়। আর তাই সহজ মেহেদি ডিজাইন ছবি নিচে দেওয়া হল এগুলো দিয়ে আপনারা মেহেদি ডিজাইন করতে পারেন।
মুসলিমদের জন্য দুইটি উৎসব। একটি হল রোজার ঈদ আর অন্যটি হল কোরবানির ঈদ।কয়েক দিন আগে যে ঈদ পালন করা হলো সেটা হলো আমাদের কোরবানির ঈদ। এই ঈদের সময়ে আমরা অনেক মজা করে থাকি। ঈদের আগের রাত্রে আমরা পরিবারের সবাই মিলে হাতে মেহেদী দেওয়া সহ না রকমের সাজ গোজ করে থাকি। প্রতিবছর এই কোরবানি ঈদ খুব আনন্দের সাথে পালন করা হয়ে থাকে।
এই ঈদের দিনে সকালে আমরা সবাই (ছেলেরা)গোসল করি এবং নতুন পোশাক পরিধান করি। চোখে সুরমা, আতর লাগায়। গ্রামের সবাই মিলে আমরা আমাদের নিজস্ব ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। গ্রামের প্রতিটা মানুষ বৃদ্ধ, যুবক সবাই মিলে একসাথে নামাজ পড়তে যাই। নামাজ শেষ করে আমরা সবাই একে অপরের কোলাকুলি করি। তারপর আমরা ঈদগাঁ থেকে বের হয়ে আসি।
এটা থেকে বাড়ি আসার পর আমরা সেমাই পরোটা মিষ্টি দই ইত্যাদি দিয়ে নাস্তা করি। নাস্তা শেষ করে আমরা আমাদের পোষা প্রিয় প্রাণীটিকে নিয়ে কোরবানির উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। এবারের ঈদ আনন্দ অনেকটাই ভাটা পড়েছে করোনা মহামারীর কাছে। বাইরে বের হওয়ার নিষেধাজ্ঞা তো আছেই। তাই বলে কী থেমে থাকবে ঈদ আনন্দ? ঘরের মধ্যেই হোক ঈদ উৎসব। ঈদের অন্যতম আনন্দ হেনা বা মেহেদী আর্ট। এটি আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যরও অংশ। শুদু তাই নয় বাতাসে মেহেদীর সুগন্ধ উৎসবের আমেজ বয়ে নিয়ে আসে।