চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায়।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

বেশিরভাগ সময়ই আমরা আমাদের চোখের নিচের কালি ঢাকার জন্য কনসিলার, ফাউণ্ডেশন কিনে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করি, কিন্তু কখনো কি আমরা আমাদের চোখের নিচে কেন কালি জমে তার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি?

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায়।

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায়।

আমাদের চোখের নিচের ত্বক অনেক বেশি স্পর্শকাতর এবং এর নিচে অনেক ছোট ছোট রক্তনালী বয়ে গেছে যারা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে এবং চোখের নিচের ত্বক কালো হতে থাকে। চোখের নিচের অংশে ফ্লুইড জমা হতে থাকার কারণে চোখের নিচটা ফুলে যেতে থাকে এবং চোখের নিচে কালি পড়ে।

 

এর পিছনে অনেকগুলো কারণ আছে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, ঘুম না হওয়া, কম্পিউটারের মনিটরের সামনে বসে থাকাই চোখের নিচে কালি পড়া কিংবা চোখ ফুলে যাওয়ার প্রাথমিক কারণ নয়।

বরং নাসারন্ধ্রিতে সমস্যা, বংশগত সমস্যা, এলার্জি, মূত্রগ্রন্থিতে সমস্যা কিংবা রক্ত চলাচলে সমস্যা থাকার কারণেও চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে। মূলত চোখের নিচের কালি হওয়ার পিছনে তিনটি কারণ থাকে।

চাপঃ

চোখের নিচে কালি পড়ার খুব প্রচলিত একটি কারণ হলো কোন কারণে খুব বেশি চাপে থাকা।

পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়াঃ

কেউ যদি দিনে কমপক্ষে আট ঘণ্টা না ঘুমায়, তাহলে তার চোখের নিচে কালি পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

পানিশূন্যতাঃ

শরীর থেকে অনেক বেশি মাত্রায় পানি বেরিয়ে গেলে ত্বক শুষ্ক এবং শরীর দূর্বল হয়ে যায়। এর ফলে চোখের নিচে কালি পড়ে।

সমাধানঃ

এখানে যে ধরণের সমাধানের কথা বলা আছে, সেগুলো যে সবসময়েই কাজে লাগবে, তা নয়। তবে এটা কোন ক্ষতির কারণ হবে না।

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায়।

বমি বমি ভাব হলে করণীয় কি।

আসুন জেনে নেই কীভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে চোখের নিচের কালি দূর করা যায়।কয়েক টুকরা শসা এবং আলু নিন। ঠাণ্ডা পানিতে এগুলো এমনভাবে পেস্ট করে নিন যাতে একটি তরল মিশ্রণ তৈরি হয়।

কিছু তুলা এই মিশ্রণে ভিজিয়ে নিন এবং চোখের নিচে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এতে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ কমে যাবে।

চোখের নিচে যেখানে কালি পড়েছে, সেখানে আমলকী তেল লাগিয়ে ঘুমাতে যেতে পারেন। তাহলে চোখের নিচের কালি কমে যাবে বলে আশা করা যায়।

মাল্টিভিটামিন খেলে, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম খাওয়াও চোখের নিচে কালি দূর করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরণের এলার্জির ওষুধ নাসারন্ধ্রির সমস্যা দূর করতে পারে।

লবণ কম খেলে এবং ধূমপান ছেড়ে দিলে রক্ত চলাচল বাড়ে। যদি আপনার চোখ কচলানোর অভ্যাস থাকে, তাহলে সেটি বাদ দিন। কেননা এটি আপনার ত্বকের নিচের রক্ত কণাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

আপনি যদি আপনার চোখের নিচের ফোলাভাব নিয়ে চিন্তিত হন, তাহলে নিচের সমাধানগুলো পরখ করে দেখতে পারেন।

সকালে ঘুম থেকে উঠেই চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিলে অনেক উপকার পাওয়া যায় এবং এটি চোখের নিচের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। ব্যবহার করা টিব্যাগ সারারাত ফ্রিজে রেখে পরদিন সকালে চোখে পনের মিনিট রাখলে এটি খুব দ্রুত কাজ দেয়।

অবস্থা যদি খারাপ থেকে খারাপের দিকে যায়, তাহলে সবসময় চোখে কনসিলার ব্যবহার করুন। যতোটা সম্ভব কম মেকআপ ব্যবহারের চেষ্টা করুন। আর অবশ্যই দিনে কমপক্ষে আট ঘণ্টা ঘুমানোর ব্যাপারে কোন কম্প্রোমাইজ করবেন না।