হস্তমৈথুন করা উপকার না অপকার?

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

পরিমিত মাত্রায় হস্তমৈথুন শরীরের কোনো ক্ষতি করে না। তবে তা খুব বেশি করলে এবং সেই অনুপাতে শরীরের যত্ন না নিলে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্তি আসতে পারে। সপ্তাহে দু-তিনবার হস্তমৈথুন একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার। অবশ্য এটা যাতে নেশায় পরিণত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যাদের কাছে এটা নেশার মত মনে হয়, এবং মনেপ্রাণে কমিয়ে দিতে চাইছেন, তাদের জন্য কিছু ব্যবস্থা ও করণীয় হতে পারে

হস্তমৈথুন করা উপকার না অপকার?

হস্তমৈথুন করা উপকার না অপকার?

১. প্রথমেই মনে রাখতে হবে, হস্তমৈথুন বা স্বমেহন কোনো পাপ বা অপরাধ নয়। এটা প্রাণীদের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটা করে ফেলে কোনো প্রকার অনুশোচনা, পাপ, বা অপরাধবোধে ভুগবেন না। এমন হলে ব্যাপারটা সব সময় মাথার মধ্যে ঘুরবে এবং এ থেকে মুক্তি পেতে আবার এটা করে শরীর অবশ করে ফেলতে ইচ্ছে হবে।

মনে রাখবেন আপনি মানুষ। আর মানুষ মাত্রই ভুল করে। এটা করে ফেলার পর যদি মনে করেন ভুল হয়ে গেছে তো সেজন্য অনুশোচনা করবেন না। নিজেকে শাস্তি দেবেন না। বরং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হোন যাতে ভবিষ্যতে মন শক্ত রাখতে পারেন।

২. যেসব ব্যাপার আপনাকে হস্তমৈথুনের দিকে ধাবিত করে, সেগুলো ছুড়ে ফেলুন, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন। যদি মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন থেকে সত্যি সত্য মুক্তি পেতে চান তাহলে পর্নো মুভি বা চটির কালেকশন থাকলে সেগুলো এক্ষুনি নষ্ট করে ফেলুন। পুড়িয়ে বা ছিঁড়ে ফেলুন। হার্ডড্রাইব বা মেমরি থেকে এক্ষুনি ডিলিট করে দিন। ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে ব্রাউজারে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল-এ গিয়ে এডাল্ট কন্টেন্ট ব্লক করে দিন। ঘরে কোনো সেক্সটয় (খেলনা) থাকলে এক্ষুনি গার্বেজ করে দিন।

১৩. বাথরুম শাওয়ার নেয়ার সময় হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করুন।

১৪. যখনই মনে সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হবে, তখনই অন্যকিছু নিয়ে চিন্তা করবেন।

হস্তমৈথুন করা উপকার না অপকার?

১৫. মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকাবেন না। তাদের ব্যাপারে বা দেখলে মন আর দৃষ্টি পবিত্র করে তাকাবেন। নিজের মা বা বোন মনে করবেন।

১৬. হাতের কব্জিতে একটা রাবারের ব্যান্ড লাগিয়ে নেবেন। সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হলে তুড়ি বাজাতে পারেন, পা দোলাতে পারেন — এতে কুচিন্তা দূর হয়ে যাবে।

১৭. যতটা সম্ভব নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।

১৮. যে-কোন উপায়ে পর্নোমুভি আর চটি এড়িয়ে চলুন।

১৯. বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সবার সাথে বেশি সময় কাটান।

২০. ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারেন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।

২১. নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করবেন, আপনার সাথে যারা আছে তাদের কথা ভাববেন।

২২. বাড়িতে বা রুমে কখনও একা থাকবেন না।

২৩. কোনোদিন করেন নি, এমন নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন।

২৪. উপুর হয়ে ঘুমাবেন না।

২৫. বিকেলের পরে উত্তেজক ও গুরুপাক খাবার খাবেন না।

২৬. গার্লফ্রেন্ড বা প্রেমিকা কিংবা মেয়েদের সাথে শুয়ে শুয়ে, নির্জনে বসে প্রেমালাম করবেন না।