যে রং নিয়ে আপনি জন্মেছেন, সেটা হয়তো আপনি চেঞ্জ করতে পারবেন না। যদি না আপনি মাইকেল জ্যাকসনের মত পুরো ত্বক ট্রান্সপ্লান্ট না করে থাকেন। তবে ইচ্ছে করলে আপনি আপনার ত্বককে আরো উজ্জ্বল আর তরুন রাখতে পারেন।
মুখের ত্বক ফর্সা করার উপায়।
এক টেবিল চামচ দুধ, এক চা চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ লেবুর রস একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর আপনার পরিষ্কার মুখের উপর মিশ্রণটি প্রয়োগ করুন। মিশ্রণটি আপনার মুখে শুকানোর জন্য প্রায় ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। ফেসপ্যাকটি শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পুদিনা পাতায় বিদ্যমান অ্যাসট্রিজেন্ট ত্বকে পুষ্টি যোগানোর সাথে সাথে ত্বকে উজ্জ্বল করে তুলে। ১৫ থেকে ২০টি পুদিনা পাতা পেস্ট করে এটি মুখে লাগান এবং পুরো মুখে পেস্টটি লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে টান টান করবে আর ত্বকের ছোট ছোট পোর ঢেকে দেবে।
আকন্দ গাছের গুণাগুণ ও উপকারিতা
১। ত্বক উজ্জ্বল আর ফর্সা করার জন্য দরকার পর্যাপ্ত ভিটামিন সি গ্রহন করা। যেমন অরেঞ্জ জ্যুস বা মুসাম্বি জ্যুস অথবা সকালবেলা ১ চামচ লেবুর রস ও আধা চামচ মধুসহ এক কাপ পানি খালি পেটে পান করুন। দেখবেন কেমন তরতাজা থাকবেন।
মুখের ত্বক ফর্সা করার উপায়।
২। ত্বকের উজ্জ্বলতা আর সজীব থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ন আরেকটি উপাদান হল ভিটামিন এ। ত্বকের বাঁধন আর উজ্ব্বল কমপ্লেক্সনের জন্য আপনার খাবারে থাকা চাই নন-ফ্যাট মিল্ক, ডিমের কুসুম আর শেল ফিশ।
৩। যথাসম্ভব রোদ থেকে দূরে থাকতে হবে। প্রখর রোদে বাইরে বেরুনোর সময় অবশ্যই ক্যাপ অথবা হ্যাট পড়ুন, সম্ভব হলে ছাতা ব্যবহার করুন। রোদে বেরোনোর অন্ততঃ বিশ মিনিট আগে UVA and UVB Sunscreen মেখে নিন।
৪ । মধু আর চিনির মিক্সার মেখে প্রাকৃতিক মাজুনি দিয়ে সারা শরীর আস্তে আস্তে ঘষে পরিস্কার করুন। গুঁড়া বা চূর্ন করা চিনি দিয়ে আস্তে আস্তে ত্বকে ম্যাসাজ করুন যতক্ষন না গলে যায়। প্রতিদিন দীর্ঘসময় ধরে এক্সফোলিয়েশন করার প্রয়োজন নেই, ৩-৫ মিনিটই যথেষ্ট।
৫। এছাড়াও আপনার খাদ্য তালিকায় আরো যেসব খাবার থাকা প্রয়োজন তা হল গাঁজর, তরমুজ, পাকা পেঁপে – যেগুলো রঙ্গিন। এসব রঙ্গিন খাবার আর সবজী বিটা ক্যারোটিন সম্মৃদ্ধ যা ত্বকের স্বাস্থ্যে অপরিহার্য।