(Seo) এসইও বিভিন্ন ট্যাগের ব্যবহার।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

টাইটেল ট্যাগ

একটি ওয়েব পেজের জন্য টাইটেল ট্যাগ (title tag) খুব গুরত্বপূর্ন বিষয়। কারন Search Engine কোন ওয়েব সাইট কে খুজে পেতে title tag ব্যাবহার করে।

(Seo) এসইও বিভিন্ন ট্যাগের ব্যবহার।

(Seo) এসইও বিভিন্ন ট্যাগের ব্যবহার।

টাইটেল ট্যাগ

একটি টাইটেল হল একটি এইচটিএমএল ডকুমেন্টের নাম বা শিরোনাম। টাইটেল ট্যাগ ইউজার এবং Search Engine উভয়কে বলে দেয় যে পেজের মধ্যে কি আছে অর্থ্যাৎ একটি টাইটেল হল একটি পেজের সারাংশ। ওয়েব পেজের টাইটেল হতে হবে এমন যাতে এটি সাইটের অন্য কোন পেজের টাইটেলের সাথে মিলে না যায় অর্থ্যাৎ টাইটেলটি হতে হবে unique এবং নির্ভূল।

 

Search Window তে টাইটেল ট্যাগের অবস্থান

সার্চ রেজাল্ট যখন আমরা ব্রাউজারে দেখি তখন পেজ টাইটেল সবার আগে প্রথম লাইনে থাকে। নিচে একটি ছবিতে Search Window তে টাইটেল ট্যাগ (Title tag), মেটা ট্যাগ (Meta tag) ও ওয়েব সাইটের URL এর অবস্থান দেখানো হল।

ইউজার যে কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করবে সেই কিওয়ার্ডটি যদি সার্চ রেজাল্টে বোল্ড করে দেখায় তাও আবার পুরো পেজ টাইটেলটি তাহলে সাইটের ট্রাফিক বহুগুন বেড়ে যাবে।

 

<title>…</title> ট্যাগ

এইচটিএমএল ডকুমেন্টে <title>…</title> ট্যাগ ব্যাবহার করে টাইটেল দেয়া হয়। পেজ টাইটেল সবসময় এমনভাবে নির্ধারণ করা উচিৎ যার সাথে পেজের কন্টেন্টের খুব মিল আছে। এইচটিএমএল ডকুমেন্টের খুব বড় টাইটেল দেয়া উচিৎ নয়।

কারন এতে করে অনেক অপ্রয়োজনীয় শব্দ টাইটেলে চলে আসে এবং খুব বড় টাইটেল হলে গুগল এর সম্পূর্ন নয় বরং কিছু অংশ দেখায়। title tag এর ক্ষেত্রে ২টি বিষয় মনে রাখতে হবে,

তা হল – ১) টাইটেল ট্যাগের শব্দ সংখ্যা ৪০ – ৮০ টির মাঝে থাকা ভাল , ২) টাইটেল ট্যাগের মাঝে অন্য কোন ট্যাগ ব্যাবহার করা যাবে না , সবচেয়ে ভাল ওয়েব পেজের টাইটেল হতে হবে ছোট, প্রাসঙ্গিক এবং তথ্যবহুল।

 

মেটা ট্যাগ

SEO এর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্যাগ হল এইচটিএমএল মেটা ট্যাগ (Meta tag). মেটা ট্যাগের মাধ্যমে একটি এইচটিএমএল ডকুমেন্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সার্চ ইঞ্জিন কে সরবরাহ করা হয়।

 

Meta Description

মেটা (<meta>) ট্যাগ এর “description” এ পেজে কি আছে তা সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখুন। এটা Google এবং সকল Search Engine কে একটা ধারনা দেয় যে এই পেজে কি আছে। এই বর্ননা ২/৩ লাইনের মধ্যে দিতে পারেন। মেটা বর্ননাকে গুগল আপনার ওই পেজটার কন্টেন্টের সারাংশ হিসেবে ধরতে পারে। ধরতে পারে এজন্য বলা হয়েছে কারন ইউজার যে কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করবে সেটার সাথে যদি সরাসরি পেজ কন্টেন্টের কোন অংশের সাথে বেশি মিলে যায় তাহলে সেই অংশ গুগল সার্চ রেজাল্টে দেখাতে পারে।

 

মেটা বর্ননা

ইউজারের দেয়া কিওয়ার্ড যদি এই সারাংশে (মেটা বর্ননায়) থাকে তাহলে সেটা বোল্ড করে দেখাবে যেমন উপরের ছবিতে দেখুন ইউজার এর “HTML Tutorial in Bangla” লেখাটি সার্চ রেজাল্টে বোল্ড করে দেখাচ্ছে। এটা ইউজারকে একটা ইঙ্গিত দেয় যে, সে যে জিনিস খুজছে সেটার সাথে পেজটির কতটুকু মিল রয়েছে। তাই এমনভাবে মেটা বর্ননা দিন যাতে সেটা ইউজার সার্চ রেজাল্টে দেখেই যেন মনে করে এই পেজেই আমার প্রয়োজনীয় তথ্য থাকতে পারে। পেজের কন্টেন্টের কোন অংশ আবার কপি করে মেটা বনর্নাতে পেস্ট করা উচিৎ না বরং পেজের কন্টেন্টের উপর ছোটখাট একটা সারমর্ম লিখে দেয়াই ভাল। প্রতিটি পেজের মেটা বর্ননা যেন ভিন্ন ভিন্ন হয় তা নাহলে ইউজার বা সার্চ ইন্জিন যখন একসাথে বহু পেজ দেখবে তখন সমস্যা হবে। আপনার সাইটে যদি হাজার হাজার পেজ থাকে তাহলে প্রতিটি পেজের জন্য আলাদা আলাদা মেটা বর্ননা তৈরী করা জটিল হয়ে পরবে সেক্ষেত্রে পেজের কন্টেন্টের উপর ভিত্তি করে অটোমেটিক মেটা বর্ননা তৈরী হবে এধরনের টেকনিক অবলম্বন করতে হবে।

(Seo) এসইও বিভিন্ন ট্যাগের ব্যবহার।

Seo Tutorial-এসইও কি এবং কিভাবে এসইও করবেন।

হেডিং ট্যাগ

আমরা জানি এইচটিএমএল ডকুমেন্টে h1 থেকে h6 পর্যন্ত মোট ৬ টি হেডিং ট্যাগ আছে। কোন ওয়েব সাইটের SEO করার জন্য এই ট্যাগগুলোর উপর বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখা উচিৎ।

 

গুরত্বপূর্নতার ক্রম অনুসরণ করুণ

হেডিং ট্যাগের মধ্যেকার লেখাগুলি সাধারন লেখার চেয়ে একটু বড় করে দেখায়। হেডিং ট্যাগ ব্যাবহার করার সময় গুরত্বপূর্নতার ক্রম অনুসরণ করুণ। অর্থাৎ সব থেকে বেশি গুরত্বপূর্ন শিরোনামের জন্য <h1> ট্যাগ, তার থেকে কিছু কম গুরত্বপূর্ন শিরোনামের জন্য <h2> ট্যাগ, আবার তার থেকেও কিছু কম গুরত্বপূর্ন শিরোনামের জন্য <h3> ট্যাগ, এভাবে <h6> ট্যাগ পর্যন্ত।

 

সাবধানতা

যখন কোন আর্টিকেল ওয়েব পেজে লেখা হয় তখন গুরত্বপূর্ন লেখাগুলিকে হেডিং ট্যাগের মধ্যে রাখা ভাল। একটা আর্টিকেলে যদি কয়েকটি প্যারাগ্রাফ থাকে তাহলে প্রতিটি প্যারাগ্রাফের একটি করে শিরোনাম এই হেডিং ট্যাগ দিয়ে রাখা ভাল, এতে করে ইউজার এবং সার্চ ইঞ্জিন ধারনা করতে পারে যে এই প্যারাগ্রাফে কি বিষয়ে লেখা আছে। এমন হেডিং দেয়া কখনই ঠিক হবে না যার সাথে প্যারাগ্রাফটির কোন মিলই নেই। হেডিং সংক্ষিপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক হওয়াই বাঞ্ছনীয়। কখনই পুরো একটা প্যারাগ্রাফকে হেডিং ট্যাগের মধ্যে রাখা উচিৎ নয়। একটা পেজে খুব বেশি হেডিং ব্যাবহার করাও ভাল নয়। একটি পেজে যদি ৩০টি লাইন থাকে তার মধ্যে ১০/১২ টি লাইনকেই হেডিং করে দেয়া কখনই উচিৎ নয়। এধরনের অতিরিক্ত হেডিং দেয়া কখনই ভাল ফল প্রদান করবে না।

 

লিংক স্ট্রাকচার

কোন ওয়েব সাইটের SEO করার জন্য সাইটের URL বা লিংক একটি অন্যতম বিবেচ্য বিষয়। সাইটের URL বা লিংকগুলো বিষয় সংশ্লিষ্ট করে তৈরি করুন।

 

সঠিক লিংক স্ট্রাকচার

কোন লিংক এমন ভাবে তৈরি করুণ যেন তা খুব সহজ এবং বোধগম্য হয়। এতে করে Search Engine এবং ইউজার উভয়েরই পড়তে এবং বুঝতে সুবিধা হয়। কোন আইডি বা দুর্বোধ্য কোন শব্দ বা প্যারামিটার URL এ ব্যাবহার করা ঠিক নয়। কোন আইডি বা দুর্বোধ্য কোন প্যারামিটার URL এ ব্যাবহার না করে এমন শব্দ জুড়ে দিন যেটা দেখেই যেন ওয়েব পেজের কন্টেন্ট সমন্ধে একটা ধারনা করা যায়। সার্চ রেজাল্টে URL, Title এবং Meta Data এর মধ্যবর্তী স্থানে দেখায়। URL এ সেশন আইডি বা অপ্রয়োজনীয় প্যারামিটার ব্যাবহার থেকে বিরত থাকুন।নিচে SEO Friendly নয় এমন একটি URL এর উদাহরণ দেখুন –

উদাহরণ দেখুন

https://www.websschool.com/php-framework/ptc-structure

এবার নিচে SEO Friendly এমন একটি URL এর উদাহরণ দেখুন –

উদাহরণ দেখুন

https://www.websschool.com/html/html-title

নোট – URL এ অতিরিক্ত শব্দ ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

 

লিংক স্ট্রাকচারের সাবধানতা

একটি গুরত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে প্রতিটি পেজের বা কন্টেন্টের একটি মাত্র URL রাখা। একই পেজের যদি একটির অধিক URL থাকে তবে Search Engine কিন্তু তাকে আলাদা আলাদা পেজ মনে করে ফলে Google Page Ranking ও সেভাবে দিয়ে থাকে । যদি ওয়েব সাইটের একটা পেজের কয়েকটা URL থাকে, তবে ৩০১ রিডাইরেক্ট একটা মেথড আছে যার মাধ্যমে সব URL কে একটা পছন্দনীয় URL এ নিয়ে আসা যায়। এই মেথডে htsccess ফাইলের মাধ্যমে এটা করা যায়। এজন্য এপাচি সার্ভারের এই htsccess ফাইলটিতে কোড লিখে এই পরিবর্তন আনা যায়। ৩০১ রিডাইরেক্ট মেথড ছাড়াও ক্যানোনিকাল URL ব্যাবহার করেও এই কাজটি করা যায়। URL এ ছোট হাতের অক্ষর ব্যাবহার করাই শোভনীয় ছোট বড় হাতের একসাথে করলে তা দেখতেও খারাপ লাগে এবং এটা Search Engine Friendly ও নয়।